ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? সাধারণত এই বিষয়টি জানা থাকলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে পারা যায়। অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক আকার ধারণ করে যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডেঙ্গু মশা যদি কামড়ে দেয় তাহলে ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? তা জেনে নেওয়া জরুরী। এই আর্টিকেলে ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

আপনি যদি ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?

• ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়
• ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়
• ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি
• ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ
• শেষ কথা

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়

সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে এডিস মশার কামড়ে। যখন কোন ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ে থাকে সাধারণত তখন ওই ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু নামক ভাইরাস প্রবেশ করে যার ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এখন আমাদের মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা। যেহেতু ডেঙ্গু জ্বর খুবই মারাত্মক তাই অবশ্যই আমাদের উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বাজেটের মধ্যে গেমিং পিসি কিভাবে কিনবেন তা জেনে নিন

সাধারণত গ্রীষ্মকালীন রোগ ডেঙ্গু জ্বর। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমনের তিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা যায়। ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, সম্পন্ন শরীর ব্যথা করা ইত্যাদি। ডেঙ্গু রোগ একটি সাধারন ভাইরাসজনিত রোগ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

অনেক ক্ষেত্রে এই ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক রোগ নিতে পারে। অনেক সময় ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে রক্তপাত দেখা যায়। এডিস মশা কামড়ের ৩-১৫ দিনের মধ্যে এর মধ্যে থাকা উপসর্গগুলো দেখা যায়। অনেকে ক্ষেত্রে ৪-৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলোর সাথে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। আবার দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগ ভালো হতে শুরু করে।

ডেঙ্গু রোগের প্রধান বাহক হল এডিস মশা। সাধারণত মশার কামড়ের কারণেই এই রোগ ছড়িয়ে থাকে। ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে এই মশাগুলো অন্যান্য মশার চেয়ে বড় হয়ে থাকে এবং তাদের শরীরে ডোরাকাটা দাগ থাকে। এটি হচ্ছে এডিস মশা চেনার উপায়। সাধারণত এই মশা জলবদ্ধ এলাকার মধ্যে বংশবিস্তার করতে পারে। আশা করি ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? বিষয়টি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন।

ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশার কামড়ে এ রোগ হয়ে থাকে। তাই আমাদের ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। সাধারণত এ রোগের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর। ডেঙ্গু জ্বর এর সাথে শরীরের আরও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। ডেঙ্গু যেহেতু মশা বাহিত রোগ তাই এই মশার কামড়ের হাত থেকে অবশ্যই নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে হবে।

২। এডিস মশা থেকে বাঁচতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখুন, সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন। রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি দিয়ে ঘুমাবেন।

৩। বাড়ির চারপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। জমে থাকা পানিতে মশারা বংশবিস্তার করতে পারে খুব সহজেই। আপনি যদি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই বাড়ির আশেপাশে জলবদ্ধতা থাকতে দেওয়া যাবেনা।

৪। সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা জামা কাপড় যেমন লম্বা শার্ট প্যান্ট, মোজা এবং জুতা পরিধান করতে হবে।

৫। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা অর্থাৎ এডিস মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বাসায় যেন মশা ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

৬। এছাড়া আপনার বাড়িতে অথবা বাড়ির আশেপাশে মশা নিরোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করতে পারেন।

ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? এ বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। কারণ এডিস মশার কামড়ে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায় জ্বর। আপনি কি ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি? এ বিষয়টি জানতে চান? আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবশ্যই ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি? তা জেনে রাখা জরুরী। কারণ ডেঙ্গু রোগ একটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং এটি মশার মাধ্যমে ছড়ায়।

আরো পড়ুনঃ কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস - মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায় জানুন

ডেঙ্গু ভাইরাস হলো ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবার ও ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত মশা বাহিত এক সূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া গিয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই পূর্ণরূপে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। এডিস ইজিপ্টি মশা এই ভাইরাসের বাহক। একই মশা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাসেরও বাহক।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ

ডেঙ্গু রোগের সাথে আমরা অনেক পরিচিত। কারণ বাংলাদেশের প্রতিবছর গরমকালীন সময়ে ডেঙ্গু জনিত রোগ গুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যেহেতু এই রোগ মশার কামড়ের কারণে হয়ে থাকে তাই ডেঙ্গু রোগ হল মশা বাহিত রোগ। এডিস মশার ফলে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

১। ডেঙ্গু রোগের প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর। এর কারণে শরীরে ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেই আবার জ্বর আসতে পারে।

২। ডেঙ্গু রোগের আরও একটি অন্যতম লক্ষণ হল শরীর ব্যথা হওয়া। এর সঙ্গে মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া এর সাথে চামড়ায় লালচে দাগ দেখা দেওয়া।

৩। ডেঙ্গু রোগের কারণে তীব্র পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, মুখের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকার্য কঠিন ও দ্রুত হওয়া, শরীর ঠান্ডা অনুভব হওয়া এ ছাড়া ঘুম ঘুম ভাব এ লক্ষণ গুলো দেখা যায়।

৪। শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া এ লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেতে পারে।

৫। শরীরের বিশেষ করে হাড়, কোমর পিঠ সহ অস্থি সন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যাথা হতে পারে।

৬। এছাড়া মাথাব্যথা এবং চোখের পিছনে ব্যথা অনুভব হতে পারে। এই রোগের কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ হতে পারে।

শেষ কথাঃ ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?

ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়? ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? ডেঙ্গু ভাইরাসের নাম কি? ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া উচিত। বিষয়গুলো জেনে রাখলে রোগ মুক্ত হতে পারা যায় খুব সহজে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস ও কিছু কথা

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। ১৬৮৩০