কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস - মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায় জানুন

পোস্ট সূচিপত্রঃ কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস

• কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস
• মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়
• দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
• রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়
• উপসংহার

কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস

আজাকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস নিয়ে। এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিবো কম সময়ে মোটা হওয়ারা টিপস গুলো সম্পর্কে। অনেকে কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস জানতে গুগলে অনুসন্ধান করে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস গুলো জেনে নেওয়া যাক।

অনেকে শুধু মনে করে শরীর কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে হয় বিষয়টি তা নয়। শরীর স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্যও ব্যায়াম করতে হয়। সেই ব্যয়াম যে আপনাকে জিমে গিয়ে করতে হবে এমন নয় আপনি বাসাতেও ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি জিমে গিয়ে কমপাউন্ড ব্যায়াম, সোল্ডার প্রেস, ডেডলিফ্ট ব্যায়াম, করতে পারেন। আর যদি আপনি বাসায় ব্যায়াম করতে চান তাহলে আপনি পুশ আপ ব্যায়াম, পুল আপ ব্যায়াম করতে পারেন, স্কোয়াট ব্যায়াম গুলো করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার কোন গুলো তা জেনে নিন

ওজন বৃদ্ধি করবে এমন খাবার গুলো আপনাকে খেতে হবে। অনেকে তা না করে তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড এগুলো গ্রহণ করে যা শরীরের কোন ওজন বাড়ায় না। আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় ২-৩ টি সিদ্ধ আলু যোগ করবেন। এই সিদ্ধ আলু আপনি সকালে, বিকালে, রাতে খেতে পারেন। এটা জরুরী নয় যে আপনাকে তা নিদিৃষ্ট সময়ে খেতে হবে। যেটার কথা না বললেই নয় তা হলো কলা। আপনি কলা দিনে ৩-৪ টি খান দিনের যেকোন সময়ে। কলা খেলে আপনার ওজন দ্রুত বাড়বে। তাছাড়া মোটা হওয়ার জন্য আপনি ৬টি শুকনো ডুমুর ফল নিন সাথে ৩০ গ্রাম কিসমিস নিন সারারাত তা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন যেকোন সময়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খান। আপনি খুব কম অল্প সময়ের মধ্যে রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

ওজন দুই  ভাবে বাড়ানো যায়। একটা হলোঃ মোটা হওয়া অন্যটি হলোঃ স্বাস্থ্যবান শরীর। আপনি যদি স্বাস্থ্যবান শরীর বানাতে চান তাহলো আপনাকে প্রোটিন নিতে হবে। প্রোটিনের জন্য আপনি ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিন আপনি ৩-৪  ডিম খেতে পারেন। এরপর হলো ছোলা আপনি প্রতি রাতে একমুঠো ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে চিবিয়ে চিবিয়ে খান তাহলে আপনি এখান থেকে ভরপুর প্রোটিন পেয়ে যাবেন। এরপর বাদাম আপনি প্রতি রাতে কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা চিবিয়ে চিবিয়ে খান তাহলে আপনি এখান থেকে প্রচুর প্রোটিন পেয়ে যাবেন। 

উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি কম সময়ের মধ্যে একটি ভালো রেজাল্ট দেখতে পারবেন। আশা করি কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস গুলো আমি আপনাকে দিতে পেরেছি। এগুলো নিয়মিত মেনে চললে আপনি একটি ভালো রেজাল্ট পাবেন আশা করা যায়।

মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়

অনেকে মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায় জানতে চায় তাদের জন্য মূলত এই প্যারাটি। আজকের এই প্যারার মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিবো মোটা হওয়ার সহজ কিছু উপায়। শুধু খাদ্য তালিকা ঠিক রাখলে হবে না পাশাপাশি আপনাকে মোটা হওয়ার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়।

• শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ঘুমের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাকে দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে শরীর স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
• দুশ্চিন্তা শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করবেন নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখার জন্য। দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য আপনি মেডিটেশন করতে পারেন।
• ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস করা। ক্ষুধা লাগলে ক্ষুধা চেপে না রেখে একটু কিছু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
• অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকুন। যাদের হস্তমৈথুনের অভ্যাস আছে তা পরিহার করুন।
• সবসময় নিজেকে হাসি খুশির মধ্যে রাখুন।
• নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন।
• পাশাপাশি নিচের প্যারাতে বর্ণিত খাদ্য তালিকা গুলো মেনে চলুন। খাদ্য তালিকার পাশাপাশি এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে আপনি মোটা হয়ে যাবেন।

দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

অনেকে দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা জানতে চাই। মোটা হওয়ার জন্য আমাদের খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরী। এজন্য খাদ্য তালিকায় কিছু বিশেষ খাবার সংযোজন করতে হয়। আমরা আজকে আপনাকে জানিয়ে দিবো দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া জরুরী। খাদ্য তালিকার এই রুটিন মেনে চললে আপনি দ্রুত মোটা হতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা গুলো।

আরো পড়ুনঃ জন্ডিস হলে করণীয় কি কি তা জেনে নিন

দুধঃ দুধ হচ্ছে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। দুধ হচ্ছে পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস। দুধে রয়েছে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ডি যা আপনার শরীর বিকাশে এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ রাখুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধ খেয়ে নিন যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর হবে। দুধ আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।

ডিমঃ দুধের কথা বলবেন আর ডিমের কথা না বললে হয়। যে কোন বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার হলো ডিম। ডিম ভাজা খাওয়ার চাইতে সিদ্ধ করে খাওয়াটা ভালো। ইহা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ আর উচ্চ ক্যালরি যা শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে।

পনিরঃ পনিরে রয়েছে উচ্চ ক্যালরি ও প্রোটিন যা শরীর দ্রুত মোটা করতে সাহায্যে করে। এছাড়া আরও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এর মতো উপাদান। যা আপনার শরীর দ্রুত মোটা করতে সাহায্যে করবে। আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় পনির রাখতে পারেন।

অ্যাভোকাডোঃ এটি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার। ইহা শরীর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অ্যাভোকাডো  এখানে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, ফাইবার, পটাশিয়াম ভিটামিন সি জাতীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে আপনি দ্রুত শারীরিক ভাবে বিকশিত করবেন।

ভাতঃ ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ভাতে রয়েছে উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে ওজন বৃদ্ধি করে শরীরকে মোটা করতে সাহয্যে করে। প্রতিদিন দুপুর বা রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শাকসবজী ও ফলঃ কিছু কিছু শাকসবজী ফল রয়েছে যেগুলো রযেছে উচ্চ ক্যালরি যা আপনার শরীর দ্রুত মোটা করতে সাহায্যে করবে। সেগুলো হলোঃ কাঁচা/পাঁকা কলা, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, লিচু, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি যা আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে সাহায্যে করবে।

এগুলো বাদে আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংস, ডাল, মধু, কাঠ বাদা, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি রাখতে পারেন যা আপনার শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি করে শরীরকে স্বাস্থ্যবান করে তুলবে। আশা করি আলোচনা থেকে দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা জানতে পেরেছেন।

রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়

লিকলিকে শরীর আমরা অনেকে পছন্দ করি না। আমরা চাই শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য। শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান হতে আমাদের কিছু নিয়ম কানুন মানতে হবে। তাহলে আমরা রোগা থেকে মোটা হতে পারবো। আগে আমর জেনে নিই ওজন কম হওয়ার কী ? ওজন কম হওয়ার কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যেভ্যাস, শারীরিক রোগ যেমন ঃ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ডায়রিয়া, যক্ষা, ঘুম কম হওযা, মাদকাসক্ত, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় গুলো।

আরো পড়ুনঃ খিঁচুনির লক্ষণ গুলো জেনে নিন

সকালের খাবারঃ ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের খাবারের তালিকায় আপনাকে কিছু খাবার সংযুক্ত করতে হবে। সেগুলো হলোঃ ডিম, খেজুর, কলা, দুধ ইত্যাদি। এই খাবার গুলো শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর। এই খাবার গুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার রোগা শরীর মোটা হয়ে যাবে। এখন আমরা জানবো এই খাবারগুলোর ভিতরে কি কি গুণাগুণ রয়েছে যা আমাদের রোগা শরীরকে মোটা করবে।

• দুধঃ আমাদের শরীরে যত প্রকার পুষ্টির দরকার তার সকল গুণাগুণ দুধের মধ্যে রয়েছে। দুধে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে। দুধে ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্যে করে। দুধ শরীরে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দুধের সব থেকে বড় সুবিধা হলো এটা যেকোন সময় খাওয়া যায়।
• কলাঃ কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। বাজারে সস্তায় কলা পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্যে করে। কলাতে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খাদ্যে হজমে সাহায্যে করে। তাই সকাল বেলায় ভরা পেটে কলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
• ডিমঃ যেকোন বয়সের মানুষ ডিম খেতে পছন্দ করে। ডিমে অনেক পুষ্টি গুণাগুণ রয়েছে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ ইহা চোখের জন্য অনেক উপকারী। যাদের চোখের স্বাস্থ্যের সমস্যা আছে তাদের জন্য ডিম অনেক উপকারী খাদ্য হতে পারে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ২ যা শরীরের ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখে। এছাড়া ডিমে রয়েছে জিংক যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চেষ্টা করবেন সিদ্ধ ডিম খাওয়ার জন্য। কারণ, ইহা শরীরে জন্য অনেক ‍উপকারী।
• খেজুরঃ ইহা একটি অসাধরণ ফল। ইহার পুষ্টির গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। যেকোন বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার হলো খেজুর। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শরীরের রক্ত তৈরীতে সাহায্যে করে। কারণ, খেজুরে রয়েছে আয়রন ও ফলিক এসিড। খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা হজমে সাহায্যে করে।

দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারঃ দুপুরের খাবারে ও রাতের খাবারের তালিকায় কিছু কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে। যা আপনার রোগা পাতলা শরীরকে মোটা তাজা করবে। সেই দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার গুলো হলোঃ

• ডালঃ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। মাংসে যেমন প্রোটিন রয়েছে ডালে ঠিক তেমন প্রোটিন রয়েছে। তাছাড়া ডালে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম সহ আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। অনেকে পাতলা ডাল খায় পাতলা ডালের চেয়ে ঘন ডাল খাওয়া ভালো। যা আপনার রোগা পাতলা শরীরকে মোটা তাজা করবে। আমাদের শরীরে এমন কিছু উপকারী জীবাণু আছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই জীবাণু গুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডাল এমন একটি প্রিবায়োটিক খাবার যা শরীরে উপকারী জীবাণুগুলোকে বাঁচিয়ে/সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
• টক দইঃ টক দই অনেক উপকারী জীবাণু রয়েছে। টক দই খাওয়ার ফলে আপনি আপনার শরীরে উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়াতে পাচ্ছেন। এই উপকারী জীবাণুগুলো ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। মিষ্টি দইয়ে রয়েছে অতিরিক্ত চিনি যা শরীরে চর্বি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এজন্য দইয়ের উপকারিতা পেতে চাইলে টক দই উত্তম।
• মাংসঃ আপনি দুপুরের খাবারে এক/দুই টুকরো মুরগির মাংস খেতে পারেন। অনেকে হয়তো আপনাকে বলে থাকবে গরু/খাসির মাংস খেতে, গরু/খাসি মাংস খেয়ে আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন ঠিকই কিন্তু এগুলোতে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুুঁকি। তাই এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়াটা ভালো।

রাতের খাবারের জন্য উপরের খাবার গুলো প্রযোজ্য। যদি কোন কারণে দুপুরে উপরোক্ত খাবারগুলো না খেয়ে থাকেন তাহলে তা আপনি রাতের বেলায় খেতে পারেন। এতে আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

এছাড়া অরোও অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে যেমনঃ কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। বাদামে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার সহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা আপনার রোগা পাতলা শরীরকে মোটা করতে সহায়তা করবে। তবে খেয়াল রাখবেন বাদামে যেন চিনি, লবণ মেশানো না থাকে। তাছাড়া বাদামের সাথে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল  ইত্যাদি।

তাছাড়া আপনি যদি খাবারের সাথে মিষ্টি কুমড়ার বিচি তিসির বীজ, তেলের বীজ ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন তাহলে তা আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে আপনি ব্যয়াম করতে পারেন। অতিরিক্ত চর্বি আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনি ব্যয়ামের অভ্যাস করতে পারেন। আশা করি আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এই পোস্ট থেকে কম সময়ে মোটা হওয়ার টিপস, মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়, দ্রুত মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা, রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন। ২৪৭২৯