পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়

পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এই পোস্টটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সমূহ সম্পর্কে।

পাইলসের ব্যথা অনেক যন্ত্রণাদায়ক এবং কষ্টদায়ক। তাই এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

পাইলস রোগটি যেহেতু অনেক জটিল তাই এই রোগে আক্রান্ত স্থান অনেক ব্যথা অনুভূত হয়। পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জানতে পারলে খুব সহজেই আপনি পাইলসের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো পাইলসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পাইলসের ব্যথাতে যারা ভুগছেন তারা অবশ্যই এই পোস্টটি পড়লে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জানতে পারবেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি পাইলস সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে আমাদের সাথে থাকুন।

পাইলস হল মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যা অনেক কষ্টকর এবং বেদনাদায়ক। পাইলসের ব্যথা হলে অনেক অস্বস্তির সম্মুখীন হতে হয়। মলদ্বারের পাশে বা ভিতরে ফুলে গিয়ে রক্তক্ষরণ হলে তাকে আমরা পাইলস হিসেবে জেনে থাকি। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৬০ এর উর্ধ্ব বয়সের মানুষের এ রোগটি হয়ে থাকে। এ রোগ হলে পায়ুপথের আশেপাশে চুলকানি হয়ে থাকে। সাধারণত ফাইবার যুক্ত খাবার কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরে পাইলস রোগের সৃষ্টি হয়।

তেল জাতীয় খাবার আমরা বেশি পছন্দ করি। এই খাবারগুলো খেলে আমাদের মল শক্ত হয়ে যায় এবং পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাইলস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল বাহ্যিক পাইলস এবং অন্যটি হলো অভ্যন্তরীণ পাইলস। পাইলসের যন্ত্রণায় যারা ভুগছেন তারা পাইলস এর ব্যথা কমানোর উপায় গুলো খুঁজে থাকেন। এই অনুচ্ছেদে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

আপনার পাইলস হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ রয়েছে। এগুলোকে আমরা পাইলসের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি। নিচে পাইলসের লক্ষণগুলো দেয়া হলো।

উপরোক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার পাইলস রোগ হয়েছে। এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়া মাত্র আপনাকে বাড়িতে পাইলসের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো জেনে পাইলস রোগের উপশম করতে হবে। খুব জটিল আকার ধারণ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

পাইলস রোগটি অনেক কষ্টদায়ক এবং জটিল একটি রোগ। পাইলসের ব্যথা অনেক যন্ত্রণাদায়ক। তাই পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা চাইলে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিচে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় গুলো বর্ণনা করা হলো।

বরফ: পাইলস এর ব্যথা কমানোর জন্য বরফ অত্যন্ত কার্যকরী। আমরা জানি বরফ যে কোন ধরনের ব্যাথা নিরাময়ে সহায়তা করে। তাই ১৫ মিনিট ধরে একটি আইস প্যাকে বরফ নিয়ে পাইলস আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরে রাখুন। আপনার পাইলসের ব্যথা দূর হবে এবং রক্ত চলাচল সচল থাকবে। ঘরোয়া উপায়ে পাইলস নিরাময়ের জন্য বরফ অত্যন্ত উপকারী। পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে বরফ অত্যন্ত কার্যকরী।

আপেল সিডার ভিনেগার: পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। আপেল সিডার ভিনেগার এ রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা পাইলসের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। পাইলস আক্রান্ত স্থানে আপেল সিডার ভিনেগার তুলা দিয়ে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন দেখবেন ব্যথা নিরাময় হয়েছে।

গরম পানির ভাপ: পাইলসের সমস্যা নিরাময়ে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। ১৫ মিনিট ধরে গরম পানির উপর বসে পাইলস আক্রান্ত স্থানে ভাপ দিন দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে। তাই পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে বলা যায় গরম পানির ভাপ অনেক উপকারী। আপনি চাইলে দিনে কয়েকবার গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।

অলিভ অয়েল: পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। পাইলসের ব্যথার জন্য প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল খেতে পারেন। এটি খুব দ্রুত আপনার পাইলসের ব্যথা কমিয়ে দিবে। পাইলসের ব্যথা নিরসনে অলিভ অয়েল অনেক কার্যকরী।

আলমন্ড অয়েল: আলমন্ড অয়েল পাইলসের চিকিৎসায় অনেক কার্যকরী। পাইলসের জ্বালাপোড়া এবং ব্যথায় আলমন্ড ওয়েল অনেক উপকারী। এ তেল সাধারণত বাহ্যিক পাইলসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। একটি তুলোতে আলমন্ড অয়েল দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে পাইলস আক্রান্ত স্থানে লাগান। তাহলে পাইলসের ব্যথা দ্রুত উপশম হবে। দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাই বলা যায় পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে অ্যালমন্ড অয়েল অনেক কার্যকরী।

ব্ল্যাক টি ব্যাগ: চা পাতায় রয়েছে টান্নিক এসিড। যা পাইলসের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে টি ব্যাগ ভিজিয়ে নিয়ে একটু ঠান্ডা করে পাইলস আক্রান্ত যন্ত্রণাদায়ক স্থানে লাগালে দ্রুত ব্যথা কমে যায়। ব্যথাযুক্ত স্থানে অন্তত ১০ মিনিট ধরে এই টি ব্যাগ ধরে রাখুন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা: পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে বাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাইলসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ যা পাইলসের ব্যথা খুব দ্রুত সারায়। পাইলস আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগান খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।

ইসবগুলের ভুষি: ইসুবগুলের ভুষি পাইলসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। মলত্যাগের সময় যে ব্যথা অনুভব হয় তা এই ইসুবগুলের ভুষির মাধ্যমে দূর হয়। তাই পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে ইসুবগুলের ভুষি অনেক কার্যকর।

আদা ও লেবুর রস: পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় হিসেবে ব্যবহার করুন আদা ও লেবুর রস। পাইলসের ব্যথা দূর করার জন্য আদা ও লেবুর রস খেতে পারেন। আদা এবং লেবুর রস পাইলসের জন্য অনেক কার্যকরী। আদা ও লেবুর রস আপনাকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং সাথে সাথে পাইলসের সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলে।

উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পাইলসের ব্যথা নিরাময় করতে পারেন। আশা করছি পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের ভালো ধারণা হয়েছে।

পাইলসের চিকিৎসায় ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করার পরেও যদি পাইলস সমস্যা থেকে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খেতে হবে। পাইলস চিকিৎসায় অনেকেই পাইলো স্প্রে এবং পাইলো কিট ব্যবহার করে থাকেন। পাইলো স্প্রে সরাসরি পাইলস আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ পাইলো স্প্রে এবং পাইলো কিট ব্যবহার করবেন না। পাইলস জটিল আকার ধারণ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পাইলো স্প্রে অথবা অন্যান্য ঔষধ সেবন করুন।

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আলোচনা করলাম পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সমূহ নিয়ে। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। যারা পাইলস এর ব্যথা নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন তারা এই উপায়গুলো প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। আশা করি আমি এই পোস্টে পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের বোঝাতে পেরেছি।

আমার পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং আপনার প্রয়োজনীয় মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। ২৫৭৯২